প্রাথমিক শিক্ষা,নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অনলাইনে লেখাপড়া করার প্রয়োজনিয় ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ও সমাধান পাবেন।এসকল বিষয়ের বইসমূহ বাংলা,গণিত,Mathematics,ইংরেজি,বিজ্ঞান,SCIENCE,বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়,BANGLADESH AND GLOBAL STUDIES,ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা,ISLAM AND MORAL EDUCATION,হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা,HINDU AND MORAL EDUCATION,বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা,BUDDIST RELIGION AND MORAL EDUCATION,খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা,CHRISTIAN RELIGION AND MORAL EDUCATION এখানে পাবেন।

বড় সংখ্যা দিয়ে ছোট সংখ্যাকে ভাগ করার নিয়ম (দশমিকে প্রকাশ)

বড় সংখ্যা দিয়ে ছোট সংখ্যাকে ভাগ করার নিয়ম (দশমিকে প্রকাশ)

বড় সংখ্যা দিয়ে ছোট সংখ্যাকে ভাগ করার নিয়ম (দশমিকে প্রকাশ) :নিচে আমি সহজে যে কোন ছোট সংখ্যাকে তার বড় সংখ্যা দিয়ে ভাগ করার সহজ নিয়ম উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করেছি।
যেমন , প্রশ্ন ১÷১০০০=কত?
উত্তরঃ ১÷১০০০=০.০০১



ব্যাখ্যা:

ভাজক ১০০০ দিয়ে , ভাজ্য ১ কে ০ (শূন্য) দিয়ে ভাগ যায় , কারণ ১ সংখ্যাটি ১০০০ এর থেকে ছোট।তাই ভাজক ১ এর বরাবর উপরে ভাগফলে লিখি ০ (শূন্য)।এখন ভাগফলের ০ (শূন্য) ও ১০০০ এর গুণ করে গুণফল হোল ০ (শূন্য), এই ০ (শূন্য) লিখলাম ভাজ্যের ১ এর নিচে।
দ্বিতীয় ধপে ভাজ্যের ১ এবং ০ (শূন্য) বিয়োগ করে বিয়োগফল হোল ১ ।এখন ভাগফলের ০ (শূন্য) এর ডান পাশে একটি দশমিক (.) নেই। ভাগফলে দশমিক থাকার কারণে ভাজ্যের শেষ ধাপে ১ এর ডান পাশে একটা ০ নিতে পারি ।তাই ভাজ্যের শেষ ধাপে ১ এর ডান পাশে একটা ০ (শূন্য) লিখি। এখন ভাজ্যে হয়ে গেল ১০।
এখনও ভাজক ১০০০ এর চেয়ে ভাজ্য ১০ ছোট ।তাই আবার ভাজক ১০০০ দিয়ে ভাজ্য ১০ কে ০ (শূন্য) দিয়ে ভাগ যাবে , কারন ১০ সংখ্যাটি ১০০০ এর থেকে ছোট।আবার ভাগফলের ০ (শূন্য) ও ভাজক ১০০০ গুণ গুণফল হোল ০ (শূন্য) । সে ০ (শূন্য) লিখলাম ভাজ্যের ১০ এর নিচে। ভাজ্যের এ ১০ থেকে গুণফল ০ (শূন্য) বিয়োগ করে বিয়োগফল ১০ লিখলাম ভাজ্যের ১০ এর বরাবর নিচে।
এখনও ভাজ্য ১০ , ভাজক ১০০০ এর চেয়ে ছোট । তাই ভাগফলে দশমিক থাকার কারণে ভাজ্য ১০ এর ডান পাশে আরও একটি ০ নিব । এখন নতুন ভাজ্য পেলাম ১০০ । নতুন ভাজ্য ১০০ , আমাদের ভাজক ১০০০ থেকে এখনও ছোট ।
তাই আবারও ভাজ্য ১০০ , ভাজক ১০০০ দ্বারা ০ (শূন্য)বার ভাগ যাবে ;কারন ১০০ ভাজ্যটি ,ভাজক ১০০০ এর থেকে এখনও ছোট। তাই ভাগফলের ০.০ এর ডান পাশে আর একটি ০ (শূন্য) দিব ।অর্থাৎ নতুন ভাগফল হবে ০.০০।
এখন ভাগফলের দশমিকের ডান পাশের শেষের ০ (শূন্য) এবং ভাজক ১০০০ গুণ করে গুণফল পেলাম ০ (শূন্য)। প্রাপ্ত গুণফল ০ (শূন্য), ভাজ্য ১০০ নিচে লিখলাম। গুণফল ০ (শূন্য), ভাজ্য ১০০ থেকে বিয়োগ করে পেলাম ১০০।এই ১০০ আবার ভাজক ১০০০ এর চেয়ে ছোট ।তাই ভাগফলে দশমিক থাকার কারণে ভাজক ১০০ এর ডান পাশে আবার একটি ০ (শূন্য) নিতে পারব।এজন্য ভাজ্য ১০০ এর ডান পাশে আরও একটি ০ (শূন্য) বসিয়ে হোল ১০০০।
এখন আমরা নতুন ভাজ্য পেলাম ১০০০।নতুন ভাজ্য ১০০০, ভাজক ১০০০ দ্বারা ১ বার ভাগ যায়।তাই ভাগফল ০.০০ এর ডান পাশে ১ লিখব।এখন ভাগফলের এই ১ এবং ভাজক ১০০০ গুণ করে গুণফল পেলাম ১০০০।
প্রাপ্ত গুণফল ১০০০, ভাজ্য ১০০০ এর বরাবর নিচে লিখি।গুণফল ১০০০ , ভাজ্য ১০০০ থেকে বিয়োগ করে এদের নিচে একটি দাগ দিয়ে এদের বিয়োগফল ০ (শূন্য) লিখি। সুতরাং , ১÷১০০০=০.০০১ ।
এভাবে যে কোন ছোট সংখ্যা কে তার যে কোন বড় সংখ্যা কে ভাগ করা যাবে । মনে রাখতে হবে যে ,কোন ভাগ অংকের সমস্যায় ভাজক , ভাজ্যের চেয়ে বড় হলে এদের ভাগফল সব সময় দশমিক ভগ্নাংশ হবে অথবা সাধারণ ভগ্নাংশ হবে ।ঐ প্রাপ্ত দশমিক ভগ্নাংশ অথবা সাধারণ ভগ্নাংশের মান একই হবে ।
উপরে আমার দেখানো ভাগের নিয়ম একমাত্র নিয়ম নয়।ঐ একই সমস্যা যুক্তিক অন্য যেকোন নিয়মে করা যেতে পারে।অনলাইনে লেখাপড়া করতে আমাদের সাথে থাকুন।ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন