পরিমাপের অংক করার ম্যাজিক নিয়ম
এই পাঠটি এখানে ভডিওতে দেখুন
সহজে পরিমাপের অংক করার সূত্র :
উপরের সূত্র ব্যবহার করে পরিমাপের অংক করার নিয়মঃ
ব্যাখ্যাঃ কিলাইয়া ,হাকাইয়া, ডাকাত,মারিলে,দেশে,শান্তি, মিলিবে- এই সূত্রটি মুখস্ত করতে হবে।এই সূত্রটির বিশেষত্ব হল এই কিলাইয়া, হাকাইয়া ,ডাকাত, মারিলে, দেশে, শান্তি, মিলিবে- এ কথাটা সহজেই মনে থাকবে। এই সূত্রটা মনেও থাকবে, মজা আছে এই কথাটার মধ্যে।
উপরের তালিকায় দেখলেই বুঝতে পারছি যে , কিলাইয়া মানে -কিলোমিটার, কিলোলিটার , কিলোগ্রাম ; হাকাইয়া মানে -হেক্টোমিটার , হেক্টো লিটার, হেক্টোগ্রাম ; ডাকাত মানে - ডেকামিটার , ডেকা লিটার , ডেকাগ্রাম ; মারিলে মানে- মিটার, লিটার, গ্রাম; দেশে মানে- ডেসিমিটার , ডেসিলিটার , ডেসিগ্রাম ;শান্তি মানে - সেন্টিমিটার, সেন্টিলিটার , সেন্টিগ্রাম; মিলিবে মানে - মিলি মিটার, মিলি লিটার , মিলি গ্রাম ।
আমরা জানি , দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক মিটার ,তরল পদার্থের আয়তন পরিমাপের একক লিটার এবং কঠিন পদার্থের ওজন পরিমাপের একক গ্রাম।যখন যে একক এ প্রকাশ করতে হবে তখন উপরের তালিকার সেই অংশ ধরে কাজ করতে হবে।
উদাহরণঃ সূত্রটি বোঝানোর জন্য আমরা একটি প্রশ্ন নেই । উদাহরণ হিসাবে মনে করি ৪০০০ মিটার কে কিলোমিটার বানাতে হবে।অর্থাৎ ৪০০০ মিটার কে কিলোমিটার এ প্রকাশ করতে হবে।আমরা যদি উপরের সূত্রের তালিকার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব মিটার থেকে আমাদেরকে কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে হবে। অর্থাৎ “মিটার” কে মনে রাখার জন্য আমরা বলি “মারিলে” এবং “কিলোমিটার” কে মনে রাখার জন্য বলি কিলাইয়া।
তাহলে যদি এখন আমরা পড়ি -কিলাইয়া, হাকাইয়া ,ডাকাত, মারিলে -পর্যন্ত ।এখানে মোট চারটি ধাপ হলো ।এখানে প্রশ্ন জাগতে পারে, মারিলে পর্যন্ত গিয়ে আমরা থামলাম কেন ? মারিলের পরে দেশে, শান্তি , মিলিবে- ছিল এগুলো পর্যন্ত গেলাম না কেন ? এর উত্তর হচ্ছে আমাদেরকে এখানে মিটার থেকে কিলোমিটার বানাতে হবে, মারিলের ঠিক নিচের ধাপটি হচ্ছে দেশে অর্থাৎ ডেসিমিটার । এখানে ডেসিমিটার থেকে কিলোমিটার বানাতে বা প্রকাশ করতে বলা হয়নি ।তাই আমরা “দেশে” ধাপ পর্যন্ত যাবনা, “মারিলে” এ পর্যন্তই যাব এবং মারিলে পর্যন্ত গিয়েই থামব।
এখানে কিলাইয়া, হাকাইয়া ,ডাকাত, মারিলে -পর্যন্ত মোট চারটি ধাপ হল।এখন আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যতগুলো ধাপ হবে সেখান থেকে একটি ধাপ বাদ দিতে হবে, অর্থাৎ একটি ১০ বাদ দিব।তাই কিলাইয়া থেকে মারিলে পর্যন্ত চারটি ১০ হলেও হিসাব করব তিনটি ১০।তাহলে তিনটি ১০ গুণ সমান ১০০০ (১০x১০x১০=১০০০)।সুতরাং আমরা পেলাম ১০০০ মিটারে ১ কিলোমিটার হয়।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমরাত জানি “১০০০ মিটারে ১ কিলোমিটার হয়” তাহলে উপরের নিয়মে জটিল করে হিসাব করার কি দরকার ? তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমরা সচরাচর এই এককটি সব সময় ব্যাবহার করি , তাই “কিলাইয়া, হাকাইয়া” সূত্রটি প্রয়োজন নাও হতে পারে।কিন্তু যেসব এককগুলো আমরা সচরাচর ব্যবহার করি না, সেই একক গুলোতে প্রকাশের ক্ষেত্রে এই সূত্রটি খুব কাজে দিবে।
এইভাবে আমরা যেকোন একটি একক থেকে আর একটি এককে প্রকাশ করতে পারব । নতুন বা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ করে বলি, উপরের তালিকায় উপরে থেকে যত নিচের দিকে নামব তত ১০ গুণ করে মান কমতে থাকবে এবং যত নিচে থেকে উপরের দিকে যাব তত ১০ গুণ করে মান বাড়তে থাকবে।
আমরা মিটারকে কিলোমিটারে প্রকাশ করব , তাই অংক করার সময় ডাক সাজাতে কিলোমিটারকে হাতের ডান পাশে রাখব। অর্থাৎ যে এককে প্রকাশ করতে হবে সেটাকে সব সময় হাতের ডান পাশ রাখতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন